কিভাবে উৎপন্ন হয় ইন্টারনেট | ডাটা ব্যবহারের ফলে কোথায় যায়

0
447

“ইন্টারনেট” জিনিসটা বিদ্যুতের মতো নয়। “বিদ্যুৎ” জিনিসটি কেও উৎপাদন করে সরবরাহ করছে। সেই বিদ্যুৎ আমরা ব্যবহার করে খরচ করে ফেলছি। কিন্তু, ইন্টারনেটের বিষয়টি এরকম নয়। “উৎপন্ন হওয়ার” বিষয়টি এখানে নেই। ইন্টারনেটের ক্ষেতে “উৎপন্ন হওয়া” বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।

ডাটা ইউজ:

এটা হলো ট্রান্সফার করা ডাটার ওজন। কত কিলোবাইট বা মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার করা হচ্ছে।

ধরুন একটি ফাইল ডাউনলোড করলেন ২০ মেগাবাইটের। সেখানে ২০ মেগাবাইট ডাটা আপনার ইন্টারনেট সংযোগটি দিয়ে ট্রান্সফার হয়ে আসলো। আবার আপনি একটি ইমেইল পাঠালেন, সেখানে ১ মেগাবাইট ডাটা আপনার সংযোগটি দিয়ে ট্রান্সফার হয়ে গেলো। তাহলে আপনার মোট ব্যবহার হলো ২০ মেগাবাইট + ১ মেগাইবাইট = ২১ মেগাবাইট ডাটা।

বুঝতেই পারছেন, এই যতটুকু গেলো, আর যতটুকু আসলো সেই দুটোর যোগফলই হলো আপনার মোট ব্যবহার (বা ডাটা ইউসেজ বা ডাটা খরচ)।

দেখুন, আপনি যেটা পাঠালেন সেটা কিন্তু উৎপাদন নয়।

ডাটা লিমিট:

সম্ভবত, সচরাচর এটাকে বলা হয় “ডাটা” বা “এমবি”। আর মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এই শব্দদুটি ব্যবহার করা হয়।

এখানে এই “ডাটা” বলতে, বোঝানো হয় ডাটা ইউজের লিমিট, অর্থাৎ সর্বমোট কত পরিমান ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজে ডাটা লিমিট উল্লেখ করা হয়। যেমন: 500 MB এর একটি প্যাকেজ নিলেন। তাহলে আপনি আপনার সংযোগটির (অর্থাৎ সিমকার্ডটির) মাধ্যমে, সেন্ড এবং রিসিভ মিলিয়ে সর্বমোট 500 MB ডাটা ট্রান্সফার করার অধিকার পেলেন।

উল্লেখ্য, ব্রডবান্ডের প্যাকেজে ডাটা লিমিট থাকে না, সেখানে ডাটা ট্রান্সফার করা যায় আনলিমিটেড।

স্পিড লিমিট:

সচরাচর বলা হতে পারে: “কত এমবি’র কানেকশন?” অর্থাৎ কত এমবিপিএস এর কানেকশন।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের প্যাকেজে স্পিড লিমিট উল্লেখ করা হয়। যেমন: 500 কেবিপিএস এর একটি ব্রডব্যান্ড প্যাকেজ নিলেন। তাহলে আপনি আপনার সংযোগটির মাধ্যমে, সর্বোচ্চ 500 কেবিপিএস স্পিডে ডাটা ট্রান্সফার করার সুযোগ পেলেন। তেমনিভাবে 1 এমবিপিএস এর কানেশনে সর্বোচ্চ ১ এমবিপিএস স্পিডে ডাটা ট্রান্সফার করার সুযোগ পান।

মোবাইল ইন্টারনেটে সাধারণত স্পিড লিমিট উল্লেখ করা থাকে না। কোথাও কোথাও থাকে, সেটা ৩জি ৪জি এভাবে আবার নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে ৫জি।

আইএসপি’র ভূমিকা:

আপনি যখন একজন গ্রাহক হিসেবে, কোনো এক আইএসপি-এর (অর্থাৎ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের) কাছ থেকে ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনেন তখন সেই আইএসপির স্থাপন করা সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।

সেক্ষেত্রে যে কোনো ব্রডব্যান্ড কোম্পানী এবং মোবাইল কোম্পনীও এক একটি আইএসপি হিসেবে কাজ করছে।

এই আইএসপি আবার আরো বড় কোনো সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে প্যাকেজ কেনে এবং তাদের বসানো সংযোগের সাথে তাদের নিজেদের নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে রাখে।

তাহলে আপনার ডিভাইস এবং বৃহৎ নেটওয়ার্ক এই দুইয়ের মধ্যে সংযোগসৃষ্টিকারী হলো আইএসপি।

ইন্টারনেটের উৎস:

আগেই বলেছি যে ইন্টারনেটের উৎপাদন বলে কিছু নেই। যতগুলো ডিভাইস ইনটারনেটে যুক্ত থাকে তাদের সমষ্টিই হলো ইন্টারনেট। অর্থাৎ উৎপাদন নেই, সংযোগ আছে, আর আছে ডাটা ট্রান্সফার।

আর এসব সংযুক্ত ডিভাইস সমূহের মধ্যে কিছু কিছু স্টোরেজ (র্সাভার) আছে, যেগুলো সার্বক্ষণিক সংযুক্ত (এবং সচল) রাখতে চেষ্টা করা হয় যাতে সেগুলো থেকে যে কেও যে কোনো সময়ে তথ্য নিতে পারে।

কোন ভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে তখন সার্ভার ডাউন দেখায়।

লিখেছেন
আব্দুল্লাহ আল জাবের
সাইবার স্পেশালিস্ট
পরিচালক সাইবার ৭১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here